গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে এর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব প্রদান করে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্থাপত্য অধিদপ্তর দেওয়া নকশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণে দায়িত্ব প্রদান করে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের শৈল্পিক ভঙ্গিমা তুলে ধরা হয়েছে এর মূল নকশায়। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৫ নং সেক্টরের ২০৩ নং সড়কের ১৭ নম্বর প্লটে ২ দশমিক ৩১৯ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে ঐতিহাসিক এ স্থাপনা।
এর নির্মাণে মোট খরচ হবে ৫৫ কোটি ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তার শূন্যে উত্থিত তর্জনি ব্রোঞ্জ নির্মিত ভাস্কর্যে শোভা পাবে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে ভাস্কর্যটির উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১ ফুট। দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে আগামী প্রজন্মের কাছে অনন্য মাইলফলক হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা।
নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য ভূমিকা তুলে ধরতে স্থাপনাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তার অনন্য ভূমিকা জাতি আজীবন কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ রাখবে। পূর্বাচল নতুন শহর এলাকার শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের নিকট বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মকে উপস্থাপনের মূর্ত প্রতীক হিসেবে কাজ করবে এই বঙ্গবন্ধু স্কয়ার।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করেছেন।
তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার। তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করেই পূর্বাচলের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।