পূর্বাচলে ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, এমপি। সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সে প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মূল দায়িত্ব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে এর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব প্রদান করে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্থাপত্য অধিদপ্তর দেওয়া নকশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণে দায়িত্ব প্রদান করে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের শৈল্পিক ভঙ্গিমা তুলে ধরা হয়েছে এর মূল নকশায়। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৫ নং সেক্টরের ২০৩ নং সড়কের ১৭ নম্বর প্লটে ২ দশমিক ৩১৯ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে ঐতিহাসিক এ স্থাপনা।
এর নির্মাণে মোট খরচ হবে ৫৫ কোটি ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তার শূন্যে উত্থিত তর্জনি ব্রোঞ্জ নির্মিত ভাস্কর্যে শোভা পাবে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে ভাস্কর্যটির উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১ ফুট। দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে আগামী প্রজন্মের কাছে অনন্য মাইলফলক হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা।
নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য ভূমিকা তুলে ধরতে স্থাপনাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তার অনন্য ভূমিকা জাতি আজীবন কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ রাখবে। পূর্বাচল নতুন শহর এলাকার শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের নিকট বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্মকে উপস্থাপনের মূর্ত প্রতীক হিসেবে কাজ করবে এই বঙ্গবন্ধু স্কয়ার।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করেছেন।
তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার। তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করেই পূর্বাচলের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বাচলে প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বাণিজ্যমেলা এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এর আগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি এক্সিবিশন সেন্টারটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।

চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মালিকানায় পূর্বাচল নতুন শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’।

Advertisement

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে, দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি কমন প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ও সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।

এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে চীনের অনুদান ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকারের ২৩১ কোটি টাকা ও ইপিবি নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে।

এক্সিবিশন সেন্টারে তৈরি করা ফ্লোরের আয়তন ৩৩ হাজার বর্গমিটার, বিল্ডিংয়ের ফ্লোরের আয়তন ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার, এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলে ৮০০টি বুথ রয়েছে, প্রতিটি বুথের আয়তন ৯ দশমিক ৬৭ বর্গমিটার।

দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস সাত হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে আর এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ আছে।

Advertisement

এছাড়াও রয়েছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি-ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট একটি কনফারেন্স রুম, ছয়টি মিটিং রুম, ৫০০ আসনবিশিষ্ট ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের খেলার স্পেস, নামাজের কক্ষ, অফিস রুম দুটি, মেডিকেল রুম, ডরমেটরি-গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট ইন পাবলিক এড্রেস সিস্টেম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেটসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।

এমএএস/এআরএ/এএসএম

যে ছয় কারণে নির্মিত হলো এক্সিবিশন সেন্টার

রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ করেছে সরকার। ২০ একর জমির ওপর নির্মিত এক্সিবিশন সেন্টারটি রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাইনিজ স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। এক্সিবিশন সেন্টারটির নাম রাখা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। এ বিষয়ে চীনের সম্মতিও পাওয়া গেছে।

সেন্টারটি নির্মাণের একটি বড় অংশ চীন সরকার অর্থায়ন করেছে। সব ঠিক থাকলে এখানেই প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে- মোট ছয়টি উদ্দেশ্যে সরকার নির্মাণ করেছে চায়না- বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে- ১। বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি কমন প্লাটফর্মে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। ২। প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য নিয়ে আসা। ৩। দেশি-বিদেশি প্রতিযোগী উৎপাদকের পণ্যের মান ও মূল্য সম্পর্কে সরাসরি তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। ৪। একই প্লাটফর্মে সারাবছর পণ্যভিত্তিক মেলা ও সাধারণ বাণিজ্য মেলাসহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রকার আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি করা। ৫। স্থানীয় পণ্যের গুণগত মান ও কম্পিটিটিভনেস বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করা ও ৬। আধুনিক কারিগরি সুযোগ সুবিধা বিশিষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ সেন্টার তৈরি করে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি লি জিমিংয়ের কাছ থেকে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সেন্টার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চীন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশিদার। বাংলাদেশ রফতানি পণ্য তৈরি করতে যন্ত্রপাতি এবং পণ্যের কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করে বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২৫৬টি রফতানি পণ্যের ওপর ডিউটি ফ্রি মার্কেট সুবিধা দিচ্ছে চীন। চীনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট পণ্য, চামড়াজাত পণ্য রফতানিও বাড়ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ সেন্টার নির্মাণের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা সহজ হবে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পাশাপাশি বছরব্যাপী এখানে অন্য মেলারও আয়োজন করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর জমির ওপর বাস্তবায়িত ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীনের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ৩৩ হাজার বর্গমিটারে ফ্লোর স্পেসের মধ্যে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। এতে ৮০০টি স্টল সাজানো যাবে। দোতলায় পার্কিং বিল্ডিংয়ের আয়তন ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার। রাখা যাবে ৫০০টি গাড়ি। এ ছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে।

এক্সিবিশন সেন্টারে ৪৭৩ আসন বিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসন বিশিষ্ট একটি কনফারেন্স রুম, ৬টি নেগোশিয়েশন মিটিং রুম, ৫০০ আসনের রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার স্পেস, নামাজের রুম, ২টি অফিস রুম, মেডিক্যাল বুথ, ডরমেটরি/গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট-ইন পাবলিক এড্রেস সিস্টিম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেট, ওয়াইফাই, আলাদা রেজিস্ট্রেশন হল, আধুনিক ফোয়ারা ও ইলেক্ট্রনিক প্রবেশপথ রয়েছে।

চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেডশিপ এক্সিবেশন সেন্টার হস্তান্তরপত্রে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং চীনের পক্ষে করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের অ্যাম্বাসেডর লি জিমিং।

এক্সিবিশন সেন্টারটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর। কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে ২০১৫ সালে চীনের সহায়তায় ৭৯৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় ইপিবি। ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার কমপ্লেক্স’ (বিসিএফইসি) নামের এ প্রকল্প নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণখালীর বাগরাইয়াটেকের ২০ একর জায়গার ওপর বাস্তবায়ন হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের মেলার অস্থায়ী মাঠ থেকে পূর্বাচলে নির্মিত সেন্টারটির দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলের এ প্রদর্শনী কেন্দ্রটির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। প্রদর্শনী কেন্দ্রে দৃষ্টিনন্দন ঢেউ খেলানো ছাদের নিচে দুই লাখ ৬৯ হাজার বর্গফুটের দুটি পৃথক প্রদর্শনী হল রয়েছে।

জানা গেছে, স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র করার জন্য ২০০৯ সালে প্রাথমিকভাবে তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দরের ৩৯ একর খালি জায়গা নির্ধারণ করা হয়। পরে সেখানে জায়গা না পাওয়ায় প্রকল্পটি সময়ের বিবেচনায় পূর্বাচল উপশহরে সরিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রদর্শনী কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি কেনা বাবদ সরকার দিয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে বছরে একবার মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার বাইরেও সারা বছর সোর্সিং ও পণ্য প্রদর্শনী হবে। সে জন্য পাঁচ তারকা হোটেল, নতুন প্রদর্শনী কেন্দ্র, ভূগর্ভস্থ পার্কিং ইত্যাদি করা হবে। এসব স্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে বাড়তি ১৫ একর জমি পাওয়া গেছে।

যে ছয় কারণে নির্মিত হলো এক্সিবিশন সেন্টার

রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ করেছে সরকার। ২০ একর জমির ওপর নির্মিত এক্সিবিশন সেন্টারটি রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাইনিজ স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। এক্সিবিশন সেন্টারটির নাম রাখা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। এ বিষয়ে চীনের সম্মতিও পাওয়া গেছে।

সেন্টারটি নির্মাণের একটি বড় অংশ চীন সরকার অর্থায়ন করেছে। সব ঠিক থাকলে এখানেই প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে- মোট ছয়টি উদ্দেশ্যে সরকার নির্মাণ করেছে চায়না- বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে- ১। বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি কমন প্লাটফর্মে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। ২। প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য নিয়ে আসা। ৩। দেশি-বিদেশি প্রতিযোগী উৎপাদকের পণ্যের মান ও মূল্য সম্পর্কে সরাসরি তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। ৪। একই প্লাটফর্মে সারাবছর পণ্যভিত্তিক মেলা ও সাধারণ বাণিজ্য মেলাসহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রকার আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি করা। ৫। স্থানীয় পণ্যের গুণগত মান ও কম্পিটিটিভনেস বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করা ও ৬। আধুনিক কারিগরি সুযোগ সুবিধা বিশিষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ সেন্টার তৈরি করে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি লি জিমিংয়ের কাছ থেকে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সেন্টার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চীন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশিদার। বাংলাদেশ রফতানি পণ্য তৈরি করতে যন্ত্রপাতি এবং পণ্যের কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করে বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২৫৬টি রফতানি পণ্যের ওপর ডিউটি ফ্রি মার্কেট সুবিধা দিচ্ছে চীন। চীনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট পণ্য, চামড়াজাত পণ্য রফতানিও বাড়ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ সেন্টার নির্মাণের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা সহজ হবে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পাশাপাশি বছরব্যাপী এখানে অন্য মেলারও আয়োজন করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর জমির ওপর বাস্তবায়িত ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীনের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ৩৩ হাজার বর্গমিটারে ফ্লোর স্পেসের মধ্যে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। এতে ৮০০টি স্টল সাজানো যাবে। দোতলায় পার্কিং বিল্ডিংয়ের আয়তন ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার। রাখা যাবে ৫০০টি গাড়ি। এ ছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে।

এক্সিবিশন সেন্টারে ৪৭৩ আসন বিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসন বিশিষ্ট একটি কনফারেন্স রুম, ৬টি নেগোশিয়েশন মিটিং রুম, ৫০০ আসনের রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার স্পেস, নামাজের রুম, ২টি অফিস রুম, মেডিক্যাল বুথ, ডরমেটরি/গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট-ইন পাবলিক এড্রেস সিস্টিম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেট, ওয়াইফাই, আলাদা রেজিস্ট্রেশন হল, আধুনিক ফোয়ারা ও ইলেক্ট্রনিক প্রবেশপথ রয়েছে।

চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেডশিপ এক্সিবেশন সেন্টার হস্তান্তরপত্রে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং চীনের পক্ষে করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের অ্যাম্বাসেডর লি জিমিং।

এক্সিবিশন সেন্টারটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর। কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে ২০১৫ সালে চীনের সহায়তায় ৭৯৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় ইপিবি। ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার কমপ্লেক্স’ (বিসিএফইসি) নামের এ প্রকল্প নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণখালীর বাগরাইয়াটেকের ২০ একর জায়গার ওপর বাস্তবায়ন হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের মেলার অস্থায়ী মাঠ থেকে পূর্বাচলে নির্মিত সেন্টারটির দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলের এ প্রদর্শনী কেন্দ্রটির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। প্রদর্শনী কেন্দ্রে দৃষ্টিনন্দন ঢেউ খেলানো ছাদের নিচে দুই লাখ ৬৯ হাজার বর্গফুটের দুটি পৃথক প্রদর্শনী হল রয়েছে।

জানা গেছে, স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র করার জন্য ২০০৯ সালে প্রাথমিকভাবে তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দরের ৩৯ একর খালি জায়গা নির্ধারণ করা হয়। পরে সেখানে জায়গা না পাওয়ায় প্রকল্পটি সময়ের বিবেচনায় পূর্বাচল উপশহরে সরিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রদর্শনী কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি কেনা বাবদ সরকার দিয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে বছরে একবার মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার বাইরেও সারা বছর সোর্সিং ও পণ্য প্রদর্শনী হবে। সে জন্য পাঁচ তারকা হোটেল, নতুন প্রদর্শনী কেন্দ্র, ভূগর্ভস্থ পার্কিং ইত্যাদি করা হবে। এসব স্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে বাড়তি ১৫ একর জমি পাওয়া গেছে।

Corporate Address

ADDRESS:

Borak Mehnur, Level-20, 51/B, Kemal Ataturk Avenue, Banani, Dhaka-1213, Bangladesh

Tel:

+88 02 55035651-5, 55035274

Mob:

+880 183 011 7777

E-mail:

info@purbachaleastwoodcity.com

Project Address

ADDRESS:

Nolpathor, Kanchan, Rupganj-1461, Narayanganj, Bangladesh

Tel:

+88 02 55035651-5, 55035274

Mob:

+880 183 011 7777

E-mail:

info@purbachaleastwoodcity.com

LET US ACHIEVE YOUR DREAMS TOGETHER - CONTACT US TODAY

    I hereby acknowledge and consent to the collection and storage of the data I have submitted. This information will be processed in accordance with applicable privacy regulations and solely for the purpose of addressing and responding to my inquiry or request.

    © Purbachal East Wood City. All rights reserved.